সরকারি চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ইউনিয়নে বিএনপির জরুরি কর্মী সভা Abdul Hamid Abdul Hamid Khan প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৫ যশোর প্রতিনিধিঃ সরকারি খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির (ভিজিডি/ভিজিএফ) আওতায় হতদরিদ্র নারীদের মাঝে বিতরণকৃত চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নে জরুরি কর্মী সভা আয়োজন করেছে উলাশী ইউনিয়ন বিএনপি। শুক্রবার বিকেলে (১ আগস্ট) উলাশী ইউনিয়নের ধলদা বাজারস্থ বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদা, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। সভায় সাম্প্রতিক এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের উপস্থিত করা হয় এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ও সংশ্লিষ্টতা যাচাই করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ঘটনার প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা চালান। সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান নেদাকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বলেন, “নেতা নেদার সততা, জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করতে একটি মহল মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশে সহায়তা করছে।” বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ ও গঠনমূলক রাজনৈতিক দল। তাই এর সুনাম রক্ষার্থে ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সত্যতা যাচাই করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন নেতৃবৃন্দ। উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন,“গত বৃহস্পতিবার সরকারি খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত নারীদের মাঝে চাল বিতরণ চলাকালে কিছু দুষ্কৃতকারী চাল ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে এবং তা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর দ্রুত জরুরি কর্মী সভা ডাকা হয়। ঘটনাটি তদন্তাধীন এবং সত্যতা মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে, উলাশী ইউনিয়নের ধলদা মোড়ে ভিডব্লিউভি তালিকাভুক্ত নারীদের প্রত্যেককে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বস্তা করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দপ্রাপ্ত চাল ভ্যানে করে নিজ নিজ বাড়িতে নেওয়ার সময় ধলদা গ্রামের কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের পথ রোধ করে দুই থেকে তিন বস্তা করে চাল ছিনিয়ে নেয় এমন অভিযোগ ওঠে। প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে, অভিযুক্তরা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদার ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম রবিউল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।” SHARES অপরাধ বিষয়: