গাজীপুরে স্বামীর দা’য়ের কুপে স্ত্রী নিহত Abdul Hamid Abdul Hamid Khan প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৫ ফাহিম ফরহাদঃ গাজীপুর সদর থানা এলাকায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। বুধবার রাত সারে ১১টায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৩১নং ওয়ার্ড পশ্চিম ধীরাশ্রম ফুলবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ সালেমা বেগম (৫০) পশ্চিম ধীরাশ্রম ফুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো: করম আলির মেয়ে। ঘাতক স্বামী হলেন মো: মোস্তফা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী সালমা বেগমকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে ঘাতক স্বামী মোস্তফা। এরপর এলাকার বাসিন্দারা দরজা খুলে স্ত্রী সালমা বেগমকে ফ্লোরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘাতক স্বামী মোস্তফাকে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, বুধবার রাতে মোস্তফা বাড়ি ফেরায় পর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ঘাতক স্বামী মোস্তফা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের দরজা আটকে স্ত্রী সালেমার মাথায় ধারালো দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করেন। এরপর আশেপাশের মানুষ চিৎকার শুনে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করলে ঘাতক স্বামী মোস্তফা বলেন, “আমি আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি, আমি দরজা খুললে আপনারা আমারে মাইরা ফেলবেন।” এরপর স্থানীয় লোকজন অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা খুললে স্ত্রী সালমা বেগমকে ফ্লোরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়, এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়, এদিকে ঘাতক স্বামী মোস্তফাকে বেঁধে রাখেন উপস্থিত স্থানীয়রা। এরপর জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে গাজীপুর সদর থানার পুলিশ এসে ঘাতক স্বামী মোস্তফাকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। নিহত সালেমা বেগমের বড় মেয়ে মোসা: মর্জিনা আক্তার জানান, তার মা সালেমা দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় স্বামী মোস্তফা কে বিয়ে করে একসাথে সংসার করে আসতেছিল। হঠাৎ করে আজ এই ঘটনা ঘটে। রাতে হঠাৎ আমার মা চিৎকার করে বলেন, “মর্জিনা বাঁচা ‘আমারে মাইরা ফেললো।” এরপর আমি পাশের রুম থেকে চিৎকার শুনে দ্রুত বের হয়ে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করি, কিন্তু আমার মা দরজা খুলে নি। এরপর এলাকার লোকজনকে ডাকাডাকি করলে স্থানীয়রা এসে আমার মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আমার মাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হইছে, আমি এই হত্যার কঠিন বিচার চাই। দায়িত্বরত পুলিশ জানায়, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে গাজীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহ থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। অভিযুক্ত স্বামী থানা হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। SHARES অপরাধ বিষয়: