জিএমপিতে স্মার্ট পুলিশিং: ‘গণপুলিশিং সার্ভিস’ উদ্বোধন, রিয়েল-টাইম তদারকিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন Abdul Hamid Abdul Hamid Khan প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৫ মহানগর প্রতিনিধি ঃ পুলিশি সেবাকে স্বচ্ছ, জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো ‘গণপুলিশিং সার্ভিস’ একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যা থানায় আগত নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তির পুরো প্রক্রিয়াকে রিয়েল-টাইমে অনলাইন তদারকির আওতায় আনবে। প্রযুক্তিনির্ভর স্বচ্ছতার নতুন দিগন্ত গাজীপুর সদর মেট্রো থানায় এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান। নতুন এই ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো। থানায় আসা প্রত্যেক সেবা প্রার্থীর তথ্য ও ছবি ডিজিটালি নিবন্ধিত হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিশেষ করে পুলিশ কমিশনার, যেকোনো স্থান থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে দেখতে পারবেন: কোন আবেদন বা অভিযোগ কোন ধাপে আছে। সেবা প্রদানের দায়িত্বে কোন কর্মকর্তা রয়েছেন। কত সময় ধরে আবেদনটি অপেক্ষমাণ রয়েছে। স্বয়ংক্রিয় জবাবদিহিতা: যদি কোনো আবেদন নির্ধারিত সময়ে নিষ্পত্তি না হয় এবং সিস্টেমে ‘পেন্ডিং’ হিসেবে প্রদর্শিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। এটি দাপ্তরিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, “জনগণের আস্থা অর্জন ও পুলিশি সেবাকে আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী এবং প্রযুক্তিনির্ভর করতে ‘গণপুলিশিং সার্ভিস’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, থানায় আগত প্রতিটি নাগরিক দ্রুত, সঠিক ও সম্মানজনক সেবা পাচ্ছেন।” স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট পুলিশিং এই ‘রিয়েল-টাইম মনিটরিং সিস্টেম’ কে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট পুলিশিং ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের সেবা প্রদানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এর মাধ্যমে একযোগে নিশ্চিত হবে: থানার কার্যক্রমের নিবিড় পর্যবেক্ষণ। নাগরিক সেবার মান উন্নয়নও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা। জিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগর পুলিশের মোট আটটি থানার মধ্যে ছয়টিতে আজ থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এই থানাগুলোতে সেবা প্রার্থীরা সহজে উন্নত সেবা পাচ্ছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। কোনাবাড়ী ও বাসন বাকি দুটি থানায়ও খুব দ্রুতই এই ব্যবস্থা চালুর প্রস্তুতি চলছে। এই উদ্যোগ জনগণ ও প্রশাসনের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে এবং সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসি (হেডকোয়ার্টার) জাহিদুল ইসলাম, ডিসি (অপরাধ-উত্তর) রবিউল হাসান, ডিসি (লজিস্টিকস) শফিকুল ইসলাম, সদর মেট্রো থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। SHARES জেলা/উপজেলা বিষয়: